স্বদেশ ডেস্ক:
সংঘাতের মধ্যেই ইসরায়েলে পৌঁছেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এই সফরে তিনি ইসরায়েলি কর্মকর্তা এবং ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানা গেছে।
মূলত ইসরায়েলের প্রতি সংহতি প্রকাশ করতেই তিনি এ সফর করছেন। ইসরায়েলের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে ব্লিঙ্কেন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, আমি খুবই সহজ এবং পরিষ্কার বার্তা দিতে চাই যে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পাশে আছে। খবর বিবিসির।
হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাতে শুরু থেকেই তেল আবিবকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। হামাসের সঙ্গে লড়াইয়ে সহায়তা করতে একদিন আগেই ইসরায়েলে বিভিন্ন ধরনের সামরিক সরঞ্জাম পাঠিয়েছে ওয়াশিংটন।
গত শনিবার ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারপর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ১১০০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
হতাহতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় গাজার হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ। এদিকে বুধবার (১১ অক্টোবর) জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে গাজার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্র। এর ফলে অন্ধকারে ডুবে গেছে হামাস-নিয়ন্ত্রিত এলাকাটি।
বিদ্যুৎ না থাকায় গাজার হাসপাতালগুলোকে এখন কেবল জেনারেটরের ওপর ভরসা করে চলতে হবে। সেটাও চালানো যাবে আর বড়জোর দুই থেকে চারদিন। এরপর শেষ হয়ে যাবে সব জ্বালানি।